Dooars
আমরা যে রাস্তাটা দিয়ে আমাদের হোটেলটায় এলাম, সে রাস্তাটা ধরে সামনে বা ওপরে আর কোথাও যাবার নেই। আমাদের হোটেলটাই পাহাড়ের সবচেয়ে উঁচুতে। তাই, হোটেলের সামনেটা বেশ খোলামেলা; সামনেই ভুটানের বিভিন্ন গ্রাম দেখা যাচ্ছে।
ঘুরতে যাবার জায়গা হিসেবে ছত্রিশগড় খুব জনপ্রিয় নয়। তারই মধ্যে সামান্য যেটুকু পরিচিতি আছে, সেটা চিত্রকূট ফলসের জন্যে। লোকজন জগদলপুরের চিত্রকূট ফলস যায় মূলত বিশাখাপত্তনম থেকে, আরাকু হয়ে। আমাদের বিশাখাপত্তনম-আরাকু আগেই ঘোরা বলে, প্ল্যানটা বানালাম রায়পুর-কেন্দ্রিক করে।
গরম পেরিয়ে বর্ষা পড়ে গেছে। আমারও ভুবনেশ্বরে এই শেষ মাস। আরেকটা নতুন কাজের সূত্রে এইবার চলেছি কলকাতা। কিন্তু তার আগে, ঘুরে নিতেই হবে ভুবনেশ্বরের একটা জায়গা – পাণ্ডব বখরা গুহা। ভুবনেশ্বর থেকে বেরিয়ে… Continue reading
কোম্পানী থেকে কি ব্যবস্থা করবে, তার বিশেষ আন্দাজ করা যায়নি। তারা সব দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছিল কোনও এক ট্যুর অপারেটরকে। মাত্র তিন দিনের বিজনেস ট্রিপে বেশি এদিক-ওদিক করার জায়গা থাকেনা। তাছাড়া, কোম্পানীর দলবল ছেড়ে বিদেশবিভূঁই-এ ভাগ্নেকে বেশী একা ঘোরার সাজেশনটা দেওয়াও উচিত মনে হয়নি। যাবার মাসদুয়েক আগে, ট্যুর অপারেটর পাসপোর্ট আর ফরেন এক্সচেঞ্জ-এর কাজগুলো সেরে দিল। তারপর একেবারে যাবার দিনে, সময়মত ভাগ্নেকে দমদমে ছেড়ে এলাম। কোম্পানীর সহকর্মীদের সাথে ভাগ্নে চলল – দুবাই; নিজের প্রথম বিদেশ ভ্রমণে, প্রথম বিমান যাত্রায়, প্রথম বাড়ির লোকজন ছাড়া একাই।
ধাপগুলো যা চওড়া, তাতে পুরো পা আঁটে না; কোথাও কোথাও একদিকে খাদ আর রেলিংটাও অঞ্জনদা দার্জিলিং-এ লাগিয়ে বসে আছেন! এই অবস্থায় পুরোটা যেতে চাইলে, আজকে আর ডাউকী গিয়ে পৌছনোর আশা নেই। একমত হতে বেশী সময় লাগলো না। ফেরা শুরু করলাম।
অ্যাপেটাইজার যার দারিংবাড়ি আর গোপালপুর, সবাই ভাববে এ তো মেনকোর্সে নির্ঘাত আন্দামান বা রাজস্থান নেবে। কিন্তু, ডাক্তার বারেবারে অল্পঅল্প খাবার নিদান দিয়েছেন বলে, তাঁর কথামতই অর্ডার করলাম – রাঁচি।