Gopalpur
আগের পোস্ট : দারিংবাড়ি ; যেখানে ৩ দিন ধরে আমরা দারিংবাড়ি-তে কোথায় কিভাবে ঘুরেছি, তার বর্ণনা আছে। দারিংবাড়ির পালা শেষ করে এবার আমাদের যাবার পালা গোপালপুর।
৪র্থ দিনঃ
দিদিরা আগেই গোপালপুর ঘুরে ফেলেছে। তাই, ওদের বাড়ি ফেরার পালা। আর, আমরা দারিংবাড়ির পালা গুটিয়ে রওনা হলাম গোপালপুরের দিকে, তবে মাত্র ১ দিনের জন্যে। গোপালপুর পান্থনিবাসে পাশাপাশিই দুখানা স্যুইট বুক করা ছিল।
রুমে ঢুকেই আগে সেরে নিলাম ব্রেকফাস্ট।
তারপর লাঞ্চের অর্ডার দিয়ে রোদ্দুরের পরোয়া না করেই বেরিয়ে পড়লাম বীচটা দেখতে। হোটেলের কম্পাউন্ড থেকে নেমে গেছে একটা লম্বা সিঁড়ি।
সিঁড়ি থেকে নেমে বালির ওপর দিয়ে আরও মিনিট পাঁচেক হাঁটার পর প্রথম দেখতে পেলাম বীচ।
সমুদ্রের দিকে ঢালু হয়ে নেমে যাওয়া বীচে তখন চান করছে শুধু দুজন।
গরম বালির ওপর বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে, আমিও ফিরে এলাম তখনই। চান আর লাঞ্চ সেরে যখন আমরা রুমে ঢুকছি, আকাশ একটু মেঘলা হয়ে আসছিল। ঘুম সেরে যখন বীচে চান করতে যাবার জন্যে বেরোচ্ছি, তখন ঝিরঝির করে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে।
বীচের বাঁদিকে অল্প দূরে দেখা যাচ্ছে গোপালপুর লাইট হাউস, …
… ডানদিকে সূর্য প্রায় ডুবেই যাচ্ছে আর …
চোখের সামনে সমুদ্রে জোয়ারের দাপট। ঢালু বীচে আর জোয়ারের ঢেউ-এ চানটা ঠিক যুতসই হলনা।
কাজেই, একটু পরেই চান সেরে উঠে এলাম। হোটেলে আরেক প্রস্থ চান সেরে বেরিয়ে পড়লাম বীচের সেই দিকটায়, যেখানে দোকানের মেলা বসে গেছে।
সন্ধ্যের অন্ধকারে চাঁদের আলো এসে পড়েছে সমুদ্রের জলে। অল্প দূরে লাইট হাউসেও জ্বলছে সার্চলাইট। এসব কিছু মোহাবিষ্টের মত দেখতে দেখতেই ডিনারের সময় হয়ে গেল।
ন’টার পর বীচ একটু একটু করে ফাঁকা হতে শুরু করল। আমরাও ফিরে এলাম হোটেলে। সবাই নিজের নিজের কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ল, ডিনারের আগে অবধি।
৫ম দিনঃ
কালকের অটোটাই বলা ছিল আমাদের স্টেশনে নিয়ে যাবার জন্যে। তাতে করেই সময়মত পৌঁছলাম ব্রহ্মপুর।
ট্রেনের খাবারে রুচিসম্মত অরুচি থাকায় ব্রেকফাস্ট করলাম স্টেশন চত্বরে; এমনকি লাঞ্চও প্যাক করে নিলাম। ১২৭০৪ ফলকনামা এক্সপ্রেস যখন আমাদের নিয়ে হাওড়া (HWH) এসে পৌঁছল; ততক্ষণে আমি বুঝে গেছি যে চার দিনের এই ছোট্ট ট্রিপ আসলে একটা অ্যাপেটাইজার।
Pingback: দারিংবাড়ি | Upper Berth