My Period of Painting

আমার রঙতুলির পিরিয়ড মোটের ওপর দু’খানা। তার প্রথম পিরিয়ড কেটেছে, আঁকার স্কুলে আঁকা আর জলরং শিখে। প্রথম পিরিয়ডের শেখাটা ছিল মূলত পাঠক্রম-অনুসারী। তাই, পড়ার আর আঁকার স্কুলের বইগুলো থেকেই উঠে আসতো আঁকার বিষয় আর বস্তু। একই ধরণের বিষয়-বস্তু অনেকদিন ধরে শিখতে শিখতে, শেখাটা আস্তে আস্তে একঘেঁয়ে হয়ে যাচ্ছিল। একঘেঁয়েমি কাটিয়ে বছর তিন-চারেকের একটা ব্রেক নিয়ে দ্বিতীয় পিরিয়ড শুরু হয়েছিল গুটিকয়েক বন্ধু আর, একটা বই-এর অনুপ্রেরণাতে। বইটার (“প্রিয়দর্শিনী”) কথা আমি আগেও বলেছি টার্নার সম্পর্কে লিখতে গিয়ে। প্রিয়দর্শিনী দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত একটা পুরোন সংখ্যা, যার পাতার পর পাতায় বিখ্যাত সব আর্টিস্টদের আঁকা সব মাস্টারপিস।

কাঁচা বয়সে এত্তসব মাস্টারপিস দেখার প্রথম প্রতিক্রিয়া ছিল, মন্ত্রমুগ্ধ হওয়া। দ্বিতীয় প্রতিক্রিয়ার ফলস্বরূপ, রঙতুলি বের করে ছবিগুলো আঁকতে বসেও পড়া হত কখনও কখনও। শুরুর দিকে নকল হত শুধুই সেইসব মাস্টারপিস; তবে পরে সেই লিস্টে এসে গেছিল খবরের কাগজ, ক্যালেন্ডার, বইয়ের কভার, গ্রিটিংস কার্ড, প্রায় সবই। ছবি আঁকা চলত মূলত পোস্টার কালারেই। নীচে রইল, সেই সময়কার করা কিছু আঁকার ছবি।

শাহাবুদ্দিনের অনুসরণে

পিকাসোর গুয়ের্নিকার অনুসরণে

সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়ের লেখা “শিউলি”র প্রচ্ছদ অনুসরণে

পরেশ মাইতির অনুসরণে

রঙটঙ করা হয়না অনেকদিন। শুধু এই পুরোন ছবিই দেখি মাঝেমাঝে গুগল ফটোসের অ্যালবামে, যেমন আজ আপনাদের দেখালাম।

.

.

.